মেহেরপুর , ১৫ ডিসেমব্র : পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে
যুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা হাতে বাংলাদেশের বিজয় উল্লাসে
অংশ নিলেও বার বার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাঁচাই-বাছাইয়ের নামে বাদ দেয়া
হয়েছে একজন রনাঙ্গনের অকুতভয় সৈনিক কফিলউদ্দীনকে।
এই স্বাধীন দেশে কফিলউদ্দীনের কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই মর্যাদা ও স্বীকৃতি নিয়ে মরতে চান তিনি। তিনি গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডারের প্রতিহিংসামূলক কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহনকারী কফিলউদ্দীন কুষ্টিয়ার হাটশহরিপুরের মৃত হানিফ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই নিজ জন্মভূমি ছেড়ে গাংনী উপজেলা শহরের অদূরে পশ্চিম মালসাদহ গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনা সেই ভয়াল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে কফিলউদ্দীন বলেন, তিনি দেশ মাতৃকাকে রক্ষার জন্য ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা ধর্মদহ গ্রামের পার্শ্বে ভারতের (পশ্চিম বঙ্গের)করিমপুর থানার অন্তর্গত ৮নং সেক্টরের অধীন শিকারপুর ইয়ূথ ক্যাম্পে যোগদান করি।সেখানে দীর্ঘ প্রশিক্ষন শেষে ভারতের মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ৮ডিসেম্বর রাত ১১ টার সময় তৎকালীন ক্যাম্প কমান্ডার কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন খন্দকার নুরুন নবীর নেতৃতে ¡ প্রাগপুর সীমান্ত (মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে) অভিমুখে যাত্রা করি। পরদিন ৮ ডিসেম্বর সকালে ১ প্লাটুন (৩০ জন )মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র ও গ্রেনেড নিয়ে ধর্মদহের ব্যাঙগাড়ীর মাঠে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধ করে আমি পতাকা হাতে আল্লারদর্গা অভিমুখে রওয়ানা হই।পতাকা নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে যাওয়ার সময় পিছন দিক থেকে পাক হানাদার বাহিনী গুলি করলে সে সময় ২ জন বাঙ্গালী মারা যায়।আমরা তাদের মোকাবেলা করে ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টার সময় ভেড়ামারা দখল করি।ঐদিন সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার হাটশহরিপুর গ্রামে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করি।এসময় আমাদের সাথে বর্তমানে মেজর জেনারেল খন্দকার নুরুন-নবী (তৎকালীন ক্যাপ্টেন), ভেড়ামারার রাজনৈতিক নেতা রাজা মিয়া ও মামুন মিয়া, কুষ্টিয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনছার আলী আমাদের সাথে ছিলেন। কফিলউদ্দীন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আজও স্বীকৃতি না পাওয়ায় তার সহযোদ্ধারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্তাজ আলী জানান, কফিলউদ্দীন গাংনী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।তিনি কুষ্টিয়া থেকে এসেছেন। গাংনী উপজেলার তালিকায় তার নাম ঠিকানা না থাকায় আমরা সুপারিশ করতে পারিনি।
মুক্তিযোদ্ধা কফিলউদ্দীন আরও জানান, যারা ইয়ূথ ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নেয়নি। এমনকি যুদ্ধে অংশ নেয়নি। তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়ে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা লাভ করছে অথচ আমি সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেও তালিকাভুক্ত হতে পারিনি।আমার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল কাগজ বা সনদপত্র থাকলেও নানা অজুহাতে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি একজন ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং-৮২৪, মুক্তিবার্তা নং-০৪১০০২০৩৭৭,মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সনদপত্র যার নং ম-১০২১০৮। আমি যুদ্ধকালীন সময় থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে একাধীক সনদ পত্র ও প্রত্যয়ন পত্র দাখিল করেছি। এসকল সনদ ছাড়াও ২০০৬ সালে সাময়িক সনদ পত্র থাকলেও অকারনে আমার নাম বাদ দেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে তিনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই স্বাধীন দেশে কফিলউদ্দীনের কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই মর্যাদা ও স্বীকৃতি নিয়ে মরতে চান তিনি। তিনি গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডারের প্রতিহিংসামূলক কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহনকারী কফিলউদ্দীন কুষ্টিয়ার হাটশহরিপুরের মৃত হানিফ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই নিজ জন্মভূমি ছেড়ে গাংনী উপজেলা শহরের অদূরে পশ্চিম মালসাদহ গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনা সেই ভয়াল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে কফিলউদ্দীন বলেন, তিনি দেশ মাতৃকাকে রক্ষার জন্য ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা ধর্মদহ গ্রামের পার্শ্বে ভারতের (পশ্চিম বঙ্গের)করিমপুর থানার অন্তর্গত ৮নং সেক্টরের অধীন শিকারপুর ইয়ূথ ক্যাম্পে যোগদান করি।সেখানে দীর্ঘ প্রশিক্ষন শেষে ভারতের মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ৮ডিসেম্বর রাত ১১ টার সময় তৎকালীন ক্যাম্প কমান্ডার কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন খন্দকার নুরুন নবীর নেতৃতে ¡ প্রাগপুর সীমান্ত (মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে) অভিমুখে যাত্রা করি। পরদিন ৮ ডিসেম্বর সকালে ১ প্লাটুন (৩০ জন )মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র ও গ্রেনেড নিয়ে ধর্মদহের ব্যাঙগাড়ীর মাঠে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধ করে আমি পতাকা হাতে আল্লারদর্গা অভিমুখে রওয়ানা হই।পতাকা নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে যাওয়ার সময় পিছন দিক থেকে পাক হানাদার বাহিনী গুলি করলে সে সময় ২ জন বাঙ্গালী মারা যায়।আমরা তাদের মোকাবেলা করে ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টার সময় ভেড়ামারা দখল করি।ঐদিন সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার হাটশহরিপুর গ্রামে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করি।এসময় আমাদের সাথে বর্তমানে মেজর জেনারেল খন্দকার নুরুন-নবী (তৎকালীন ক্যাপ্টেন), ভেড়ামারার রাজনৈতিক নেতা রাজা মিয়া ও মামুন মিয়া, কুষ্টিয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনছার আলী আমাদের সাথে ছিলেন। কফিলউদ্দীন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আজও স্বীকৃতি না পাওয়ায় তার সহযোদ্ধারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্তাজ আলী জানান, কফিলউদ্দীন গাংনী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।তিনি কুষ্টিয়া থেকে এসেছেন। গাংনী উপজেলার তালিকায় তার নাম ঠিকানা না থাকায় আমরা সুপারিশ করতে পারিনি।
মুক্তিযোদ্ধা কফিলউদ্দীন আরও জানান, যারা ইয়ূথ ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নেয়নি। এমনকি যুদ্ধে অংশ নেয়নি। তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়ে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা লাভ করছে অথচ আমি সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেও তালিকাভুক্ত হতে পারিনি।আমার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল কাগজ বা সনদপত্র থাকলেও নানা অজুহাতে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি একজন ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং-৮২৪, মুক্তিবার্তা নং-০৪১০০২০৩৭৭,মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সনদপত্র যার নং ম-১০২১০৮। আমি যুদ্ধকালীন সময় থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে একাধীক সনদ পত্র ও প্রত্যয়ন পত্র দাখিল করেছি। এসকল সনদ ছাড়াও ২০০৬ সালে সাময়িক সনদ পত্র থাকলেও অকারনে আমার নাম বাদ দেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে তিনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।